Pages

Subscribe:

Thursday, April 16, 2015

চোখের বিভিন্ন সমস্যা, কারন ও চিকিৎসা.....

চোখ ওঠা বা কনজাঙ্কটিভাইটিসঃ চোখের গোলকের সাদা অংশ এবং চোখের পাতার ভিতরের অংশ পাতলা একটি স্বচ্ছ পর্দা দিয়ে ঘেরা থাকে যার নাম কনজাঙ্কটিভা (Conjunctiva) আর এর প্রদাহ বা inflammation ই হলো চোখ ওঠা বা কনজাঙ্কটিভাইটিস। আমাদের সমাজে এটি খুবই একটি পরিচিত রোগ যার বহুবিধ চিকিতসা পদ্ধতি অল্পবিস্তর সবাই জানেন। আমরা আশেপাশে যে কনজাঙ্কটিভাইটিস এর রোগীদের দেখে থাকি সেটা সচরাচর ভাইরাসের আক্রমনে হয় তবে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া, এলার্জী বা আঘাত পাবার কারনেও এ রোগ হতে পারে। যেকোনো বয়সের নারী পুরুষের এ রোগটি যেকোনো সময় হতে পারে তবে অপরিস্কার বা নোংরা জীবন যাপন পদ্ধতি এরোগ হতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। চোখ ওঠা রোগে যে চোখ লাল হয়ে যায় এটা কিন্ত সবাই জানেন আর এমনটি হয় এই কনজাঙ্কটিভার রক্তনালীগুলো প্রদাহর কারনে ফুলে বড় হয়ে যাওয়া এবং তাতে রক্তপ্রবাহ বেড়ে যাবার কারনে। ঘুম থেকে উঠলে চোখ আঠা আঠা লাগা, সব সময় চোখের ভেতর কিছু একটা পড়েছে এমন অনুভূতি, চোখ চুলকানো এবং জ্বালাপোড়া করা, আলোর দিকে তাকালে অস্বস্তি লাগা, সবকিছু ঘোলা ঘোলা দেখা, চোখ দিয়ে পানি পরা, চোখের কোনায় ময়লা (যা কেতুর নামে প্রচলিত) জমা, চোখ ফুলে যাওয়া ইত্যাদি সব ই রোগের লক্ষন। কনজাঙ্কটিভাইটিস প্রথমে এক চোখে হয় এরপর তা অন্য চোখে ছড়িয়ে পরে এজন্য অন্য চোখটিকে সংক্রমিত হতে না দেয়া চিকিতসার একটি উদ্দেশ্য। এজন্য রোগিকে অসুস্থ চোখের পাশে কাত হয়ে শুতে বলা হয়। এছাড়া চোখে বার বার হাত না দেয়া বা চোখ না কচকানো, বার বার পানি দিয়ে না ধোয়া, কালো চশমা পড়া ইত্যাদি উপদেশ রোগটির বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রনে সাহাহ্য করে। এ রোগে চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে জেনে নেয়া উচিত রোগের কারন কি এবং এখন কি করনিয়। আরো খারাপ কোনো ইনফেকশন এর হাত থেকে বাচাতে বা এই ইনফেকশন সারাতে এন্টিবায়োটিক ড্রপ দিতে হলে তিনিই দিবেন। অপচিকিৎসা করা হলে রোগটি জটিল আকার ধারন করে চোখের ব্যপক ক্ষতি করতে পারে। ******দুরদৃষ্টির সমস্যা********** আমাদের চোখের ভেতরে ক্যামেরার মতো যে লেন্স (Lens) আছে তা অনেক সময় ঠিকমতো সংকোচিত হতে না পারলে আমরা দুরের অনেক জিনিস স্পষ্ট দেখতে পাইনা। এই রোগটির নাম মায়োপিয়া বা দুরদৃষ্টি। এই রোগে কাছের কোনো জিনিস দেখতে কোন অসুবিধা হয়না। সাধারণত মাথা ব্যথা বা এই জাতীয় সমস্যা নিয়ে রোগীকে এই রোগে অভিযোগ করতে শোন যায়না। বয়স্ক লোকদের তুলনায় কমবয়সী লোকজনেরই এই রোগটি বেশী হতে দেখা যায়। অনেক সময় জন্মগত কারনেও এটি হতে পারে। চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে গেলে এই রোগটি আছে কিনা তা তিনি Retinoscopy পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করেন। চোখে শুধুমাত্র Myopia রোগ থাকলে চশমায় একটি অবতল লেন্স (Concave lens)ব্যবহার করে চোখের এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করে চশমা ব্যবহার না করেও এই সমস্যার হাত থেকে রেহাই মেলে। ******নিকটদৃষ্টির সমস্যা ****** আমাদের চোখের ভেতরে ক্যামেরার মতো যে লেন্স (Lens) আছে তা অনেক সময় ঠিকমতো প্রসারিত হতে না পারলে আমদের কাছের জিনিস দেখতে অনেক সময় কষ্ট হয়। এই রোগটির নাম হাইপারমেট্রোপিয়া বা হ্রস্বদৃষ্টি। এই রোগে দূরের কোনো জিনিস দেখতে কোন অসুবিধা হয়না। যেতেতু কাছের জিনিস দেখতে অসুবিধা হয় তাই অনেকেই কষ্ট করে বই বা লেখা কাগজ চোখের কাছে এনে পড়া শুরু করেন ফলে তিনি প্রথম দিকে টের পাননা যে তার চোখের দৃষ্টিতে কোনো সমস্যা আছে। অনেক্ষন ধরে চোখে চাপ লাগিয়ে পড়ার জন্য অনেক সময় চোখে ব্যথা হতে পারে। মাথা ব্যথা এই রোগের রোগীদের খুব পরিচিত একটা অভিযোগ। চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে গেলে এই রোগটি আছে কিনা তা তিনি Retinoscopy পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করেন। চোখে শুধুমাত্র Hypermetropia রোগ থাকলে চশমায় একটি উত্তল (Convex) লেন্স ব্যবহার করে চোখের এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করে চশমা ব্যবহার না করেও এই সমস্যার হাত থেকে রেহাই মেলে।

0 comments:

Post a Comment