Pages

Subscribe:

Tuesday, April 28, 2015

ডায়াবেটিসে চোখের সমস্যা ও করণীয়

ডায়াবেটিস শরীরের যেসব অতি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত করে, এর মধ্যে অন্যতম হলো চোখ। এতে চোখের সর্বস্তরের কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে রেটিনার ক্ষতিই সবচেয়ে মারাত্মক। কেননা ডায়বেটিস রোগীর দৃষ্টিশক্তি হারানোর আশঙ্কা থেকে যায়। আর চক্ষু পার্শ্বস্থিত অন্য উপাদানগুলো জড়িত হলে দৃষ্টি অস্বচ্ছ হতে পারে। কিছু সমস্যা রোগীর মৃত্যুর আশঙ্কাও দেখা দিতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীর চোখের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রক্তনালির সমস্যাই মূলত এ জন্য দায়ী। চোখের এসব সমস্যা ৩ ভাগে ভাগ করা হয়। ক. নন-প্রলিফারেটিভ ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি (ঘচউজ), খ. প্রলিফারোটিভ ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি (চউজ) ও গ. মাকুলার ইডিমা। ডায়াবেটিস রোগীর চোখে সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি : ক. ডায়াবেটিসের উপস্থিতির সময়কাল, টাইপ-১ ও টাইপ-২Ñ উভয় ধরনের ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে তা প্রয়োজন। খ. ঠিকমতো ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করায় ব্যর্থতা। গ. উচ্চরক্তচাপ। ঘ. প্রস্রাবে আমিষের (প্রোটিনের) উপস্থিতি। ঙ. রক্তের অতিরিক্ত কোলেস্টেরল। ঙ. গর্ভধারণ। চ. রক্তস্বল্পতা। ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়মিতভাবে চোখের কাঠামোগত পরিবর্তনের হিসাব রাখতে হবে। এ জন্য ডায়াবেটিস ধরা পড়ার সময় থেকে শুরু করে প্রতি ২ বছর কমপক্ষে একবার চক্ষু পরীক্ষা করাতে হবে। কোনো সমস্যা থাকলে (রেটিনোপ্যাথি) চক্ষু বিশেষজ্ঞের সরাসরি তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে। ডায়াবেটিস রোগীদের কারও কারও উচ্চ ইন্ট্রা-অকুলার (ওঙখ) চাপ থাকতে পারে। ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি থেকে রক্ষা পেতে হলে নিয়মিত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এ জন্য যা করতে হবে, তা হলো কঠোরভাবে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ডায়াবেটিস রোগীদের ১৩০/৭০ মিলিমিটার পারদ রাখতে পারলে ভালো। এক্ষেত্রে এসিইআই (অঈঊও) ও এআরবি (অজই) জাতীয় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রক ওষুধগুলো ভালো। যা মনে রাখতে হবে : ক. সময়মতো ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি নির্ণয় ও চিকিৎসা শুরু করতে পারলে দৃষ্টি শক্তি হারানোর আশঙ্কা কমে যায়। খ. ডায়াবেটিসের স্থায়িত্ব সময়কালে রেটিনোপ্যথির তীব্রতা ও চক্ষুগোলকের ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে। গ. চিকিৎসা করেও মারাত্মœক চোখের সমস্যায় তেমন উন্নতি করা যায় না। এতে চোখের ক্ষতির পরিমাণ স্থবির হয়ে যায়। ঘ. যাদের দৃষ্টিশক্তি ক্রমেই কমতে শুরু করেছে এবং ইন্ট্রা-অকুলার চাপ বাড়ছে, তাদের চক্ষু বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে। ঙ. ১০ থেকে ৩০ বছর বয়সি ডায়াবেটিস রোগীÑ যাদের এক বছরের বেশি ডায়াবেটিস আছে এবং ৩০ বছরের বেশি বয়সের ডায়াবেটিস রোগীদের চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা জরুরি। ইদানীং লেজার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ডায়াবেটিস রেটিনেপ্যাথির রোগীদের। এতে তাদের দৃষ্টিশক্তি হারানোর আশঙ্কা অনেক কমেছে। - See more at: http://www.dainikamadershomoy.com/2015/02/18/15887.php#sthash.oYdq9yc5.dpuf

0 comments:

Post a Comment