Pages

Subscribe:

Thursday, April 30, 2015

কিডনিতে পাথর হলে কি কি করবেন?

কিডনি আমাদের শরীর থেকে প্রস্রাবের সাথে বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশন করে। কখনো কখনো লবনের সাথে বিভিন্ন খনিজ পদার্থ মিশে কিডনিতে একধরনের কঠিন পদার্থের জন্ম দেয়, যাকে আমরা কিডনির পাথর বলি। এই পাথর আকারে একটি ছোট লবনের দানা কিংবা কখনো কখনো পিংপং বল এর মত বড় হতে পারে। আমরা সহজে এই পাথরের উপস্থিতি বুঝতে পারি না যতক্ষণ না এটি আমাদের মূত্রনালির গায়ে ধাক্কা দেয় এবং একে সংকীর্ণ করার ফলে ব্যথার উদ্রেগ করে। কিডনিতে পাথরের লক্ষণ :- আসুন দেখে নিই কিডনির পাথরের ক্ষেত্রে কি কি ধরনের লক্ষণ দেখা দিতে পারে- পিঠে, পেটে কিংবা দুই পায়ের সংযোগস্থলে তীব্র ব্যথা অনুভব করা। ঘন ঘন প্রস্রাব করা এবং প্রস্রাব করার সময় ব্যথা অনুভব করা। প্রস্রাবের সাথে রক্ত আসা। বমি বমি ভাব কিংবা বমি করা। আকস্মিকভাবে পেট বা পিঠে ব্যথা অনুভব করা কিংবা প্রস্রাবের সময় ব্যথা অনুভব করা মানেই কিডনিতে পাথরের লক্ষণ নয়, তবে এসব ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্ষ নেয়া প্রয়োজন, কারন হতে পারে এটি মারাত্নক কোন রোগের লক্ষণ। কিছু সাধারন উপদেশ :- কিডনিতে পাথর হলেই অপারেশন করতে হয় এমন ধারনা ঠিক নয়। ছোট অবস্থায় ধরা পরলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথানাশক ওষুধ সেবন এবং পর্যাপ্ত পানি পান করার মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে পরিত্রান পাওয়া সম্ভব, কারন ছোট আকৃতির পাথর সাধারনত প্রস্রাবের সাথে বের হয়ে যায়। মনে রাখা প্রয়োজন, দৈনিক ৮-১০ গ্লাস বিশুদ্ধ পানি পান করলে শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ উপযুক্ত পরিমানে প্রস্রাবের সাথে বের হয়ে যায় এবং কিডনির পাথরের ঝুঁকি এবং জটিলতা কমিয়ে আনে। কিডনিতে পাথর কেন হয় ? আমাদের প্রস্রাবে পানি, লবন ও খনিজ পদার্থের সঠিক ভারসাম্য বজায় না থাকলে কিডনিতে পাথর হতে পারে। বিভিন্ন কারনে আমাদের প্রস্রাবের উপাদানের এই ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে, যেমন- প্রয়োজনের চেয়ে কম পরিমান পানি পান করা। মাত্রাতিরিক্ত আমিষ/প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহন করা। অতিরিক্ত খাবার লবন (সোডিয়াম সল্ট/টেবিল সল্ট) গ্রহন। অতিরিক্ত অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার গ্রহন যেমন চকলেট। শরীরের অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা। অনিয়ন্ত্রিত উচ্চরক্তচাপ অথবা বাতের ব্যথা কিংবা মূত্রাশয়ে প্রদাহের উপযুক্ত চিকিৎসা না করা। কিডনির পাথর সম্পর্কে সজাগ থাকুন, আপনার নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এই অজাচিত সমস্যার ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে আনতে পারে। কিডনিতে পাথর হলে কি করবেন? কিডনিতে পাথর হলে আপনি খুব সহজেই হোমিওপ্যাথি চিকিত্সার মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এর জন্য অযথা কাড়ি কাড়ি টাকা পয়সা খরচ না করে অভিজ্ঞ একজন হোমিওপ্যাথের সাথে যোগাযোগ করে চিকিত্সা নিন। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন ও সফল হোমিওপ্যাথি চিকিত্সার মধ্যমে আপনি খুব তাড়াতাড়িই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন।  বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

0 comments:

Post a Comment